বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট ( ব্রি) আঞ্চলিক কার্যালয় রাজশাহীর উদ্যোগে পাটের জমিতে রিলে পদ্ধতিতে আমন ধান চাষে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধকরনের লক্ষ্যে চারঘাট উপজেলার মীরকামারি গ্রামে গতকাল মঙ্গলবার এক কৃষক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। কোন চাষাবাদ ছাড়াই ধান ছিটিয়ে অর্থাৎ বিনা চাষে এই পদ্ধতিতে ধান চাষ করা হয়।
আয়োজিত কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পরিচালক ডিএই রাজশাহী অঞ্চল কৃষিবিদ ফজলুর রহমান। বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট ( ব্রি) আঞ্চলিক কার্যালয় রাজশাহীর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট ( ব্রি) আঞ্চলিক কার্যালয় সোনাগাজী ফেনীর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং প্রধান ড. মোস্তাফা কামাল, আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল্লাহ- হিল- কাফি এবং চারঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার আবু জাফর মো: সাদেক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওই ব্লকের উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা জনাব হাবিবুর রহমান।
প্রধান অতিথি বলেন, পাটের জমিতে রিলে পদ্ধতিতে ধান চাষ অত্যন্ত লাভ জনক। এই পদ্ধতিতে পাট কাটার ৩ সপ্তাহ আগে পাটের জমির মধ্যে আমন ধান বপন করতে হয়। পাট কাটার পর ১বার নিড়ানী ও সার দিতে হয়। এই পদ্ধতিতে পাটের জমিতে আমন আবাদ করলে পাট কাটার পর জমি চাষ, জাবাড়, আমন চারা রোপন ইত্যাদির প্রয়োজন হয়না। এতে করে আমন চাষে কৃষকের অন্তত: ৩ হাজার টাকার খরচ বেচে যায়। তাছাড়া অন্যান্য জমির চেয়ে এই পদ্ধতিতে আবাদ করা জমির ধান প্রায় ২০ দিন আগে উঠে আসায় ওই জমিতে রবি ফসলের আগাম চাষ করে লাভবান হওয়া যায়।
বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট ( ব্রি) আঞ্চলিক কার্যালয় রাজশাহীর প্রধান এবং অনুষ্ঠানের সভাপতি জানান, চলতি মৌসুমে এই পদ্ধতিতে আমন চাষ করেছেন রাজশাহীর চারঘাটের মীরকামারির কৃষক আলাউদ্দিন ও বাদুড়িয়ার কৃষক আশরাফ। এই পদ্ধতিতে চাষকৃত জমির ধান কেটে দেখা যায় বিঘায় প্রায় সাড়ে ১৭ মন ধান পাওয়া যাচ্ছে। এই পদ্ধতিতে ধান চাষ লাভজনক হওয়ায় আগামীতে আরো অনেক কৃষক এই পদ্ধতিতে ধান চাষ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে কৃষক কৃষাণী, সাংবাদিক এবং কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা সহ প্রায় ১৫০ জন উপস্থিত ছিলেন।